কুষ্টিয়া থেকে,ওয়াহিদুজ্জামান অর্ক
কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া বহলবাড়িয়া বারুইপাড়া ইউনিয়ন রক্ষার্থে বাধ নির্মাণের দাবিতে আজ সকালে ৬০ হাজার টাকা খরচ করে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে, যেখানে নদীর তীব্র ভাঙ্গন বেড়েই চলেছে ,এই সাংবাদিক সম্মেলনে কতিপয় সাংবাদিক কে ৬০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে বলে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে, এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলি আফসার উদ্দিন জানান আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানিনা, স্থানীয় চেয়ারম্যান সহ কতিপয় ব্যক্তি আমাকে আমন্ত্রণ জানায় তাদের আমন্ত্রণে আমি গণনাস্থল পরিদর্শন করতে যায়,সংবাদ সম্মেলনের সঙ্গে আমার কোন যোগসূত্রতা নেই,স্থানীয় জনসাধারণ জানান তালবাড়িয়াতে একটি বালুর ঘাট রয়েছে,এই বালুর ঘাট থেকে বালি উত্তলনের কারণে খুলনা রাজশাহী মহাসড়কের কুষ্টিয়া-ভেরামাড়ার অংশটুকু ভেঙ্গে যাচ্ছে, এদিকে বালি-উত্তলনের কারণে যেমন নদী ভাঙ্গন হচ্ছে, তেমনিভাবে পরিবেশ দুশন হচ্ছে মহাসড়কে,বালুর ঘাট সরিয়ে ফেললে এই ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন বাধ নির্মাণের মতো এখন পর্যন্ত কোন ঘটনা ঘটেনায়,এমনকি কোন প্রজেক্ট ও পাশ হয়নি,স্থানীয়রা কেনো অযথা বাধ নির্মাণের জন্য বাড়াবাড়ি করছে এ বিষয়টি আমার বোধগম্য নয়,একাধিক পরিবেশবীদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, এখানে বালির ব্যবসা ও ড্রাম ট্রাক চলাচল বন্ধ করলেই ভাঙ্গন থেমে যাবে,এছাড়াও বালি ভর্তি শত শত বৃহৎ আকারের কার্গো এসে, পাড়ে আঘাত করার সাথে সাথেই ভেঙ্গে যাচ্ছে নদীর বাধ। এখানে বাঁধ নির্মাণের কোন প্রয়োজন নেই। বালি যতদিন এখানে উত্তলন বন্ধ না হবে ও ড্রাম ট্রাক চলাচল বন্ধ না হবে, ততদিন নদীর স্বাভাবিক গতি ফিরে আসবেনা। নদী বাচাতে ও এলাকার পরিবেশ রক্ষা করতে এখনি প্রয়োজন বালি উত্তলন এবং ড্রাম ট্রাক চলাচল বন্ধ করা। এ বিষয়ে উন্নয়ন পরিষদ কুষ্টিয়ার সভাপতি হাজ্বী রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব বলেন অতিতে নদীরপাড়ে বালির ব্যবসা ছিলোনা, ড্রাম ট্রাকের দাপাদাপিও ছিলোনা, যে কারণে নদী ভাঙ্গন ও ছিলোনা, যেদিন থেকে অবৈধ ভাবে নদীর পাড়ে বালিমহল তৈরি হয়েছে, যেদিন থেকে ড্রাম ট্রাকের বেপরোয়া চলাচল শুরু হয়েছে,সেদিন থেকেই নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। জানা যায় কুষ্টিয়া পাবনা মহাসড়ক এবং তালবাড়িয়া,বহলবাড়িয়া ও বারুইপাড়া ইউনিয়ন হুমকির মুখে পড়েছে, সুতরাং বাধ নির্মাণ নয়, বালু ব্যবসা ও ড্রাম ট্রাক চলাচল বন্ধ করলেই নদী ভাঙ্গন ও বন্ধ হয়ে যাবে। জানা যায় যে,অবৈধভাবে বালির ব্যবসা,ও ড্রাম ট্রাক চলাচলের কারণে নদী ভাঙ্গনের বিষয়টি আড়াল করতে সাংবাদিক দের ৬০ হাজার টাকা দিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেছে বালি ব্যবসায়িরা।